প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

সিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদন পেল এবিজি লিমিটেড

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:১৯:৩৪ | আপডেট: ১ year আগে
সিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদন পেল এবিজি লিমিটেড

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ২৫ শতাংশ শেয়ার বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেডের কাছে বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় বিএসইসি এ অনুমোদন দেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়তুল ইসলাম।

এবিজি লিমিটেড সিএসই’র কৌশলগত অংশীদার হওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব জমা দেয়। এবিজি লিমিটেড চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের একটি শেয়ারের জন্য ১৫ টাকা প্রস্তাব করছে। সিএসই গত ১ আগস্ট বিএসইসির কাছে এ প্রস্তাব পাঠায়।

২০১৬ সাল পর্যন্ত সিএসই’র এর আর্থিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে সিএসই’র ডিসকাউন্টেড নগদ প্রবাহ পদ্ধতি অনুসারে নির্দেশক মূল্য ছিল ১১.৭৫ টাকা। মূল্য থেকে আয়ের অনুপাত অনুযায়ী ১১.০৪ টাকা এবং বুক ভ্যালু পদ্ধতিতে শেয়ার প্রতি মূল্য ছিল ২৮.৮৭ টাকা।

২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর সিএসই শুধুমাত্র একটি সংবাদপত্রে কৌশলগত বিনিয়োগকারী চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

এবিজি লিমিটেড একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি যার পর্যাপ্ত সম্পদ, জনবল, দক্ষতা ও বিনিয়োগ ক্ষমতা রয়েছে।

২০১০ সালের শেয়ার মার্কেট ধসের পর, বাজারে স্বচ্ছতা আনতে মনিটরিং নিশ্চিত করার দাবি জানায় স্টেকহোল্ডাররা। সে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সংসদে ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট পাস হয়।

এটিকে আলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে, সিএসই ২০১৩ সালে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের মধ্য দিয়ে যায়, ডিমিউচুয়ালাইজেশন এমন একটি প্রক্রিয়া যা ব্যবস্থাপনা থেকে এর মালিকানাকে আলাদা করে।

ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট ২০১৩ অনুসারে, সিএসই’র ৪০ শতাংশ শেয়ার তার সদস্যদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল এবং বাকি ৬০ শতাংশ ব্লক করা অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছিল।

৬০ শতাংশের মধ্যে, ৩৫ শতাংশ প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) তে দেয়া হবে এবং বাকি ২৫ শতাংশ কৌশলগত বিনিয়োগকারীর হাতে থাকবে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের চীনা কনসোর্টিয়ামের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি কার্যকর হয়।

ডিএসই কর্তৃপক্ষ তাদের ২৫ শতাংশ শেয়ার কনসোর্টিয়ামের কাছে ৯৪৭ কোটি টাকায় বিক্রি করে।

সিএসই ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রামে ওপেন ক্রাই ট্রেডিং সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এ বাজার বাংলাদেশে প্রথম অনলাইন ট্রেডিং সিস্টেম চালু করেছে।

গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এর পরিশোধিত মূলধন ৬৩৪ কোটি টাকা এবং এর সম্পদ রয়েছে ৮০২ কোটি টাকার।