প্রতি কেস (৩০) ডিমের দাম কমেছে ৬০ টাকা। সে হিসেবে ডিম প্রতি কমেছে ২ টাকা। আর হালিতে কমেছে ৮ টাকা।
গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ডিমের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার খুচরা বাজারে প্রতি কেস ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে। পাইকারী বাজারে প্রতি কেস ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।
এর আগে গত সপ্তাহে হঠাৎ করে প্রতি কেস ডিমের দাম ৩৬০ টাকায় উঠে যায়।
গোপালগঞ্জ শহরের ডিম ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিকদার বলেন, গত সপ্তাহে হঠাৎ করে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি কেস ডিমের দাম ৩৪০ টাকা করে দেয়। ডিম পরিবেশকরা আমাদের কাছে ৩৫০ টাকা দরে প্রতিকেস ডিম সরবরাহ শুরু করে। ফলে বাজারে প্রতি কেস ডিম ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে শুরু করে। এরপর রোববার থেকে ডিমের দাম কমেছে। প্রতিকেস ডিম আমরা পাইকারী ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
এছাড়া প্রতিকেস ডিম খুচরা বাজারে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ওই ব্যবসায়ী।
ওই ডিম বিক্রেতা আরো জানান, জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করায় দ্রুত ডিমের দাম কমেছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামীম হাসান বলেন,ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে শুক্র ও শনিবার গোপালগঞ্জে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। মোবাইল কোর্টে অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রির দায়ে ৬ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। এছাড়া জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এসব কারণে বাজারে ডিমের দামে প্রভাব পড়েছে। ইতিমধ্যেই ডিমের দাম কমেছে।