গত ১২ মাস ধরে বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। টানা এক বছরে খাদ্যমূল্য সূচকের মান কমেছে ২০ শতাংশ। খবর রয়টার্স’র।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এফএও জানিয়েছে, চলতি বছরের সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে খাদ্যমূল্য সূচক ২ দশমিক ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গত বছরের মার্চ মাসে এই সূচক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছালেও চলতি মার্চ মাসে তার মান ২০ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে গম রপ্তানি বেড়েছে। ফলে শস্য ও ডালের দাম গত মাসে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং গত এক বছরে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে ফসল কাটার মৌসুম হওয়ায় চালের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে এবং দক্ষিণ আমেরিকায় বাম্পার উৎপাদনের কারণে ভুট্টার দামও ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
উদ্ভিজ্জ তেলের দাম মার্চ মাসে ৩ শতাংশ কমেছে। যা গত বছরের মার্চ মাসের তুলনায় ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
একই সঙ্গে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম ০ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে, যা এক বছর আগের তুলনায় ১০ শতাংশ ৭ শতাংশ কমেছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটিরে মতে, মাংসের দাম মার্চ মাসে ০ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যা গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
এফএও জানায়, চাহিদা কমে যাওয়া এবং বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার অভিযোজনের (সরবরাহকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি) কারণে মূলত গত বছরের তুলনায় দাম কমেছে। তবে এই প্রবণতার ব্যতিক্রম ছিল চিনির দামে। গত মার্চ মাসে ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকেই বেড়েই চলছে।
দাম কমে যাওয়া সত্ত্বেও এফএও কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বারবার সতর্ক করেছে যে জ্বালানি সরবরাহের সমস্যা এবং অন্যান্য বাজারের অনিশ্চয়তা বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এফএও খাদ্যমূল্য সূচক তৈরির জন্য একটি বেসলাইন বছরের তুলনায় ২৩টি ক্যাটাগরিতে ৭৩টি বিভিন্ন পণ্যের দামের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করে।
পরবর্তী এফএও সূচক আগামী ৫ মে প্রকাশের কথা রয়েছে।
