চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৭ লাখ ৩২ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট সংসদে পাস হয়েছে। যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তাদের মূল বরাদ্দের থেকে অতিরিক্ত খরচ করেছে, তার অনুমোদন নিতেই এই বাজেট পাস হয়।
সোমবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২১ উত্থাপন করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
চলমান অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুকূলে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
সংশোধিত বাজেটে ১৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ১৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ৪২ হাজার ৪৮১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা হ্রাস পেয়েছে।
সার্বিকভাবে ২৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বরাদ্দ নিট দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।
সম্পূরক বাজেটের উপর ছাঁটাই প্রস্তাব দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, মোশারফ হোসেন, গণফেরামের মোকাব্বির খান ও স্বতন্ত্র রেজাউল করিম বাবলু। তবে সেগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়।
সম্পূরক বাজেটে স্থানীয় সরকার বিভাগ সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে এবং সবচেয়ে কম ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।
এছাড়া সম্পূরক বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ৪৮২ কোটি ৩ লাখ, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ৯ কোটি ৭০ লাখ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ৭৯ কোটি ৯ লাখ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২০৫ কোটি ৫৯ লাখ, পরিকল্পনা বিভাগ ২৪২ কোটি ৭৫ লাখ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ৬ কোটি ৭৪ লাখ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ১৪২ কোটি ৮৪ লাখ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৫ কোটি ১৪ লাখ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ২ হাজার ৮৫০ কোটি ৪৮ লাখ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৪৮৯ কোটি ৩৭ লাখ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩৮৪ কোটি ৫১ লাখ, শিল্প মন্ত্রণালয় ৫৬৫ কোটি ৩৭ লাখ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৯০৫ কোটি ৬৮ লাখ, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৩৩২ কোটি ৭৮ লাখ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৬৭৬ কোটি ৬২ লাখ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ৬৭৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।