প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি সাইলো নির্মাণ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ জুন ২০২১ ২০:০০:৫৪ | আপডেট: ৪ years আগে
১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি সাইলো নির্মাণ হবে

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি সম্বলিত আধুনিক মানের ৩০টি সাইলো নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি ২২ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। সভাশেষে প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। 

তিনি বলেন: দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক মানের সাইলো নির্মাণের লক্ষ্যে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে, এর আওতায় প্রাথমিকভাবে ৩০টি সাইলো নির্মাণ করা হবে। খাদ্য অধিদপ্তর জুলাই, ২০২১ থেকে ডিসেম্বও,২০২৩ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৪ জেলায় ৩০টি উপজেলায় ৩০টি সাইলো নির্মাণ হবে। এতে আগামী ৩ বছরের মধ্যে সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনা দেড় লাখ টন ধারণ ক্ষমতায় উন্নীত হবে। আধুনিক মানের সাইলো তৈরির ফলে সারা বছর কৃষকের নিকট হতে সরাসরি ধান ক্রয়ের সুযোগ হবে। কৃষক সহজেই সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে উৎসাহিত হবেন এবং উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পাবে। অধিকন্তু, কীটনাশকবিহীন মজুদ ব্যবস্থার মাধ্যমে ২ থেকে ৩ বছর শস্যের পুষ্টিমান বজায় রেখে খাদ্য মজুদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

এম এ মান্নান জানান: প্রধানমন্ত্রী ভোলা, পটুয়াখালী ও বগুড়ার মত এলাকা যেখানে ফসল বেশি উৎপাদন হয় সেখানে সাইলো নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। 

এক প্রশ্নের উত্তরে মান্নান জানান, কোভিড-১৯ অতিমারির ক্ষতিকর প্রভাব নিরুপণে সরকার আরও একটি সমীক্ষা চালাবে। চিলমারীতে নদীর বন্দর প্রকল্পটি প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান: একনেকে ৬ হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫ হাজার ২১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ৭৯৪ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন সহায়তা পাওয়া যাবে ৬৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।