প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ

১৬ দিনেই ৩২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিক্রি

১৭ নভেম্বর ২০২১ ১১:২৭:২১ | আপডেট: ৩ years আগে
১৬ দিনেই ৩২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিক্রি

মেহেদী হাসান

অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। মূলত আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের প্রবণতা বাড়ায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকাতে নভেম্বরের মাত্র ১৬ দিনেই ৩২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৬ নভেম্বর আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ছিল প্রতি ডলার ৮৫.৮০ টাকা, যা চলতি বছরের ১৬ জুনে প্রতি ডলারের মূল্য ছিল ৮৪.৮০ টাকা।

মার্কিন ডলার বিক্রির কারণে অক্টোবরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়ার পর আমদানির অর্থপ্রদানের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রবণতা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মূল কারণ বলেই মনে করছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে আমদানি অর্থ বছরে বছরে ৪৭.৫৯ শতাংশ বেড়ে ১৭.৩২ বিলিয়ন হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বছরের জুলাই পর্যন্ত ২০৫ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছিল। এখন ডলারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কিন ডলার বিক্রি শুরু করেছে।

বিবি গত অর্থবছরে দেশীয় ব্যাংক থেকে ৭.৯৩ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, মার্কিন ডলারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রধান কারণ মহামারি থেকে দেশের ব্যবসা ও অর্থনীতি ফিরে আসতে শুরু করেছে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান বলেছেন, রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রবণতা এবং আমদানি পেমেন্টে স্থগিত সহায়তার অবসান বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতার কারণ।

তিনি বলেন, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৫ মাস রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমেছে, ওই সময়কালে অবৈধ আন্তঃসীমান্ত লেনদেন ‘হুন্ডি’ ব্যবস্থার ব্যবহার বেড়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে রেমিট্যান্সের প্রবাহ গেলো বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১.৬৫ শতাংশ কমে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।