প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

২০২৩ অর্থবছরে তিনগুণ পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি

রোকন উদ্দীন
২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:২৪:৫৩ | আপডেট: ২ years আগে
২০২৩ অর্থবছরে তিনগুণ পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গত বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভর্তুকি মূল্যের অধীনে ভোজ্যতেল, মসুর ডাল এবং চিনির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য তিনগুণ বেশি বিক্রয় করবে।

টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান দ্য বিজনেস পোস্টকে বলেন; রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কর্পোরেশন চলতি অর্থবছরে ৭.১৫ লাখ টন পণ্য বিক্রি করবে, যা গত বছর ছিল ২.১১ লাখ টন ছিল।

স্থানীয় বাজারে এ জাতীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার এ বছরের ২১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে এক কোটি পরিবারের মধ্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় শুরু করেছে।

নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বিতরণ করা এক কোটি পরিবারে কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। এই উদ্যোগে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।

টিসিবি’র আরিফুল হাসান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত সময়সূচী ছাড়াই ট্রাকের মাধ্যমে প্রকাশ্যে পণ্য বিক্রি করতাম এবং এক বছরের বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা সেভাবেই নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু এখন প্রতি মাসে ফ্যামিলি কার্ড পদ্ধতির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি হচ্ছে।’

“একজন কার্ডধারী প্রতি মাসে ৫ কেজি পণ্য পাচ্ছেন। সুতরাং, আমাদের প্রতি মাসে ৫০ হাজার টন এবং বছরে ৬ লাখ টন পণ্য বিতরণ করতে হবে। বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা আরও ২০ শতাংশ মজুদ রাখছি।”

উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, “যখন দেশে চিনির সংকট ছিল তখন টিসিবি পারিবারিক কার্ডের প্রয়োজন ছাড়াই খোলা বাজারে চিনি বিক্রি করেছিল। সরকারও ঈদ এবং পূজার মতো বিভিন্ন উপলক্ষে পণ্য বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে।”

সামগ্রিকভাবে টিসিবির কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় তা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি ।

টিসিবি কোন পণ্য বিক্রি করছে?

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, টিসিবি চলতি অর্থবছরের জন্য ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুর এবং ছোলাসহ ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭.১৫ লাখ টনেরও বেশি।

এই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে, এক কোটি পরিবারের কার্ডধারীদের কাছে ৫.৯৬ লাখ টনেরও বেশি পণ্য বিক্রি করা হবে, এবং সারা দেশে বিভিন্ন উৎসব এবং সম্ভাব্য দুর্যোগের সময় গ্রাহকদের অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত ১.১৯ লাখ টন পণ্য সংরক্ষণ করা হবে।

টিসিবি জানায়, রমজান মাস ব্যতীত সারা বছর প্রতি মাসে প্রতিটি কার্ডধারী পরিবার ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল এবং ১ কেজি চিনিসহ ন্যূনতম ৫ কেজি প্রয়োজনীয় পণ্যের প্যাকেজ পাবেন।

রমজান মাসে কার্ডধারীরা অন্য একটি প্যাকেজের আওতায় ন্যূনতম ৭ কেজি পণ্য পাবেন।

অর্থবছর ২০২৩-এ  টিসিবি ২.৭৬ লাখ টন মসুর ডাল, ২.৬১ লাখ টন ভোজ্য তেল, ১.৩৮ লাখ টন চিনি, ০.১২ লাখ টন ছোলা, ০.১৫ লাখ টন খেজুর এবং ০.২৪ লাখ টন পেঁয়াজ বিক্রি করবে।

এসব পণ্য ক্রয়ের সম্ভাব্য ব্যয় ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি বলে ধারণা করেছে কর্পোরেশন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার চিনি, ৫ হাজার ২৩২ কোটি টাকা ভোজ্যতেল, ৩ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা মসুর এবং বাকি অর্থ ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুরে ব্যয় করা হবে।

নিয়মিত বিক্রয়ের পাশাপাশি, টিসিবি বিভিন্ন উৎসব, দুর্যোগের সময় এবং খুচরা বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করে।