সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আলেশা মার্ট। আর এর মাঝেই কার্যকরী মূলধনের ঘাটতি, পরিচালন ব্যয় এবং গ্রাহকদের বকেয়া পরিশোধ করতে সরকারের কাছে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার কোম্পানিটি ওই ঋণ চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। অবশ্য, মন্ত্রণালয় সূত্র দ্য বিজনেস পোস্ট’কে জানিয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানকে নগদ সহায়তা দেয়ার অনুমতি দেয়ার বিধান নেই মন্ত্রণালয়ের।
চিঠিতে আলেশা মার্ট ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় জামানত দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। যার মধ্যে বন্ধক হিসেবে ৩ হাজার শতাংশ জমি রয়েছে। কোম্পানিটির দাবি, মাত্র ৬ মাসে ১৪ বিলিয়ন টাকার লেনদেন করে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ বর্ধনশীল কোম্পানি এই আলেশা মার্ট।
গত ২ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিজেদের অফিস বন্ধ করে দেয় আলেশা মার্ট।
প্রতিষ্ঠানটির চিঠি অনুসারে, কোম্পানির বর্তমানে ৫০ হাজার কর্মী, ১.৩ মিলিয়ন অ্যাপ ব্যবহারকারী এবং প্রতি মাসে ০.৮ মিলিয়ন অর্ডার রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ই-কমার্স সেক্টরের শীর্ষ স্থান দখল করা।
প্ল্যাটফর্মটি আরও বলেছে, তারা তাদের অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলো দক্ষতার সাথে সমাধান করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
এর আগে, আলেশা মার্ট নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের অফিস এবং সমস্ত আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। সংগঠনটির দাবি, কিছু লোক তাদের অফিসে এসে তাদের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করেছে।
আলেশা গ্রুপের কিছু “লাভজনক”সহ এক ডজনেরও বেশি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা দাবি করেছেন, বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা এই ই-কমার্স ব্যবসায় ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিজিটাল কমার্স সেলের মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, রোববার আলেশা মার্ট আমাদের দুটি চিঠি পাঠিয়েছে। একটিতে তারা ৩০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে এবং অন্যটিতে তারা তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য নিরাপত্তা চেয়েছিল।
তিনি বলেন, আলেশা মার্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কোনো কোম্পানিকে ঋণ দেয়ার মতো কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আলেশা একটি ব্যাংক ঋণ চায় এবং তারা জামানত দিতে প্রস্তুত। কোম্পানিটি আমাদের বলেছে, তারা চেষ্টা চালালেও নিরাপদ ঋণ পায়নি।
অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আর্থিক সহায়তার জন্য কোম্পানির অনুরোধ সম্পর্কে আমরা সরাসরি কিছু করতে পারি না। তাই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রবিধান অনুযায়ী এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করব।