প্রচ্ছদ ›› বাণিজ্য

৭ দিনে ভারত থেকে এসেছে সাতাশ ট্রাক সজনে

টিবিপি ডেস্ক
০৪ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৪:২৬ | আপডেট: ২ মাস আগে
৭ দিনে ভারত থেকে এসেছে সাতাশ ট্রাক সজনে

দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৭ দিনে ২৭ ট্রাকে এসেছে ২৮৫ টন সজনে ডাঁটা। যা থেকে ৫২ লাখ ২৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন গতকাল রোববার  রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দেশীয় সজনে ডাঁটা এখনো বাজারে আসেনি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সজনে ডাঁটার চাহিদা থাকায় ভারত থেকে এ পুষ্টিযুক্ত সবজি আমদানি করা হচ্ছে। গত ৭ দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৭ টি ট্রাকে ২৮৫ মেট্রিক টন সজনে ডাটা আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকৃত সজনে ডাঁটা হিলি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারিরা নিয়ে গেছে। এ মৌসুমে পবিত্র রমজান মাসের আগে এবং রমজান মাসের মধ্যে সজনে ডাঁটার প্রচুর চাহিদা থাকায় আমদানিকারকেরা আরও ডাঁটা আমদানি করতে এলসি খুলেছে। দেশীয় সজনের ডাঁটা বাজারে না আসা  পর্যন্ত ভারত থেকে সজনে ডাঁটা আমদানি চলমান রাখা হবে।’

তিনি বলেন, আমদানি করা এ সবজি বগুড়া, ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে এর চাহিদা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। প্রতি টন আমদানিতে ১৫০ মার্কিন ডলার এবং কেজিতে ২০ টাকা হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। বন্দরের পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

পাকাইকার আব্দুল মমিন জনান, ভারত থেকে আমদানি করা সজনে ডাঁটার মান ভালো হওয়ায় এর চাহিদা বাড়ছে। তিনি হিলি স্থলবন্দর থেকে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে কিনে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারছেন। এতে তোর লাভ ভালোই হচ্ছে।

আমদানিকারক মোঃ রাশিদুজ্জামান জানান, তিনি গত ৭ দিনে ৯ টি ট্রাকে ৪২ মেট্রিক টন সজনে ডাঁটা ভারত থেকে আমদানি করেছেন। তার আমদানিকৃত সজনে ডাঁটা বাংলাদেশ শুল্ক পরিশোধ করে যে মূল্যে বিক্রি করেছেন তাতে তিনি ভালো লাভ করেছেন। দেশি সজেন ডাঁটা  বাজারে না আসা পর্যন্ত ভোক্তাদের নিকট প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই তিনি আরো ২০ মেট্রিক টন  সজনে ডাঁটা আগামী দু দিনের মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করবেন। তিনি আশা করছেন আগামী ৫ মার্চের মধ্যেই তার এলসি খোলা সজনে ডাঁটাগুলো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে।

হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জানান, ভারতীয় সজনে ডাঁটার চাহিদা থাকায়, স্থলবন্দর দিয়ে সজনে ডাঁটার ট্রাক প্রবেশের পর কাঁচামাল হওয়ায় দ্রুত খালাস করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরপর আমদানিকারকেরা বাহির থেকে আসা পাইকারদের নিকট সহজে সজনে ডাঁটা বিক্রি করে দিতে পারছেন। এ কাঁচামালটি আমদানি করে আমদানিকারকেরা এখন পর্যন্ত কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। সজনে ডাঁটা আমদানি থেকে এ পর্যন্ত ৫২ লাখ ২৫ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে।

সূত্র: বাসস