রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে। গত এক সাপ্তাহের তুলনায় চাল, ডাল, চিনি ও আটাসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কেজিতে ২-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও শাকসবজির দাম কিছুটা কমেছে।
বৃহস্পতিবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেজিতে ২-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে চাল ও ডালের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
এ দিন খুচরা বাজারে চিকন চাল কেজিপ্রতি ৬০-৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮-৬৮ টাকায় ছিলো। মাঝারি মানের চাল কেজি প্রতি ৪৬-৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫২-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর মোটা চাল ৪৫-৪৮ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন- ঈদ উপলক্ষে বাজার স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
মালিবাগ বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, পাইকারি বাজারে অবৈধভাবে চাল মজুদ করে রাখায় খুচরা বাজরে চালের দাম বেড়েছে। তবে গত দুই দিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও চালের দাম কমেনি।
দেশীয় ছোট মসুর ডাল প্রতি কেজি ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছোলা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬০-৭০ টাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন- নিত্যপণ্যের দাম কমা নিয়ে সুখবর নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭৮-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৯-৮৪ টাকায়। আটা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৫০ টাকায়, যা আগে ছিলো ৪২-৪৫ টাকা। ময়দা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়, যা আগে ছিলো ৫৮-৬০ টাকা।
এদিকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আমদানিকৃত রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে নিত্য প্রয়োজনীয় ২৯টি পণ্যের দাম বেড়েছে এবং দাম কমেছে ২৩টি পণ্যের।
আরও পড়ুন- চালের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তবে এসব বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২৫ টাকা। সেই সাথে কমেছে ব্রয়লার মুরগি দামও। যা কেজিতে বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা।
কাঁচাবাজারগুলোতে বেশির ভাগ সবজির দাম কমছে। দেশীয় করলা, শিম, বরবটি, কাঁচা মরিচ ও বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
রাজধানীর মানিকনগর সবজি বাজারের ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন দ্য বিজনেস পোস্ট’কে বলেন, দেশে ফলের মৌসুমে সবজির চাহিদা কমলেও সরবরাহ বাড়ে। এ কারণেই সবজির দাম কমছে। তবে জুনের পর আবার দাম বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।