গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। সেই আপিল নামঞ্জুর হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় কমিশনায়ের কার্যালয়ে ওই আপিলের শুনানি হয়।
মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত শুনানিতে বহাল রাখেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। আপিলের শুনানিতে দুজন আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে এর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম একজন ঋণ খেলাপী হিসেবে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। উনি একজন জামিনদাতা হিসেবে ঋণ খেলাপী। তাই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’
গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাতিলের পর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা থেকে সরে গেছে। কোন অদৃশ্য চাপে সরে গেছে, তা আমি জানি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমি আপিল করব, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাব। শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।’
এর আগে গত ২ মে গাজীপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন গণফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আতিকুল ইসলাম।
দুদকে দেওয়া অভিযোগপত্রে আতিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, জাহাঙ্গীর আলমের আয়কর বিবরণীতে আয়-ব্যায়ের গড়মিল, বাসার বিভিন্ন আসবাবের প্রকৃত মূল্য গোপন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বেতন ভাতা গ্রহণের বিষয়গুলো গোপন করেছেন জাহাঙ্গীর আলম।
সংশ্লিষ্ট আয়কর অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজসে জাহাঙ্গীর আলম আয়কর বিবরণীতে গড়মিল করেন বলেও অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়।