প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

পদ্মায় ঘুরতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১৫ বন্ধু রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ জুলাই ২০২২ ১৭:৫২:১৬ | আপডেট: ৩ years আগে
পদ্মায় ঘুরতে গিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১৫ বন্ধু রিমান্ডে

ঢাকা জেলার দোহারের মৈনট ঘাটে তারিকুজ্জামান সানি নামের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের মামলায় তার ১৫ বন্ধুকে তিনদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মনিরুজ্জামান এ রিমান্ড আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল আলম আসামিদের আদালতে হাজির করে এ রিমান্ড আবেদন করেন। তিনি আদালতে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।

রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বুয়েট শিক্ষার্থী সানিকে পদ্মা নদীকে ফেলে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডটি একটি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর জন্য তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন। পরবর্তী সময়ে দোহার থানা-পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সানিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। 

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ও তারা নিজেদের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় আড়াল করার জন্য থানা-পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে থাকেন।

এসআই শামছুল আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে সানিকে কৌশলে ঘটনাস্থল মৈনট ঘাটের পন্টুনে এনে ধাক্কা মেরে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যা করেছেন মর্মে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাই মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, হত্যার উদ্দেশ্য,  মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন। 

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মৈনট ঘাটে ১৫ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হন তারিকুজ্জামান সানি। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের পঞ্চম সেশনের ছাত্র সানির বাবার নাম হারুন অর রশিদ। তার বাড়ি রাজধানীর হাজারীবাগে।

নিখোঁজ হওয়ার পর সানির সন্ধানে নামে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে আসা ডুবুরি দল। ওইদিন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে মৈনট ঘাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া অন্য ১৫ বন্ধুকে আসামি করা হয়। আগে থেকে আটক এ ১৫ বুয়েটছাত্রকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ