নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় প্রেমের বিরোধে বন্ধুকে নেশা করিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে অপর দুই বন্ধু। এ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই দুই বন্ধুসহ জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল আলম।
গ্রেফতাররা হলেন- মাহমুদ হোসেন ওরফে নাহিদ (২২), মো. আমির হোসেন ওরফে আমিন (২৩)। তারা উভয়ে সদর উপজেলার সৈয়দপুর ফকিরবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লা হোমনা থানার রামকৃষ্ণপুর এলাকার মো. ইসমাইল খন্দকার (২৩),মো. বিল্লাল মিয়া এবং একই থানার শ্রীনগর গ্রামের মো. সাইদুলকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা তিন বন্ধু নাহিদ, আপন এবং আমিন। তিনজনেই পেশায় অটোরিক্সা চালক। নাহিদ এবং আপন একসময় একই মেয়েকে পছন্দ করতো। পুরোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে নতুন করে মনোমালিন্য ও বিরোধের সূত্রপাত ঘটে দু'জনের মধ্যে। এরই মধ্যে তাদের অপর বন্ধু আমিন নাহিদকে প্ররোচিত করে আপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশা ছিনতাইয়ে করার জন্যে। সেখান থেকেই বন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করে অপর দুই বন্ধু।
নাজমুল আলম আরও জানান, ছিনতাইকৃত অটো বিক্রির জন্যে দুই বন্ধু যোগাযোগ করে পূর্ব পরিচিত অটোরিক্সা চোরাই চক্রের সাথে। পূর্ব পরিকল্পনা মতে, সোমবার রাতে আপনকে দুই বন্ধু নাহিদ ও আমিন রিক্সায় ঘোরার কথা বলে নেশা দ্রব্য পান করিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। আর অটোরিক্সাটি চোর চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার পরে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম অপরাধীসহ সহযোগীদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করে। এরপর সোর্স এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মূল রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকাণ্ডে ও অটো ছিনতাইয়ে জড়িত মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং ছিনতাইকৃত অটোও উদ্ধার করা হয় ।