মুন্সিগঞ্জ সদরে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক মনির হোসেনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের কোর্টগাঁও এলাকার মুন্সীগঞ্জ মহিলা কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় মনির হোসেন সজলের বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পরীক্ষার্থীর বাবা সিরাজদীখান উপজেলা ব্র্যাকের ম্যানেজার আবদুল আজিজ।
ভিকটিম আফরিন আক্তার আশা। অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি জেলা সদরের মহাকালী ইউনিয়নের বেগেশবর গ্রামে।
আবদুল আজিজ জানান, তার মেয়ে আশা শহরের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের শিক্ষার্থী। এ কারণে জেলা শহরেই পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। কয়েক মাস ধরেই শহরের কাটাখালী এলাকার মুন্সীগঞ্জ কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক মনির হোসেন সজল তার মেয়ে আশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি আশাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। বাধ্য হয়ে কর্মস্থল সিরাজদীখানে পরিবার নিয়ে চলে যান আবদুল আজিজ। এ নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সদর থানায় জিডি করেন। এতে কিছুদিন চুপ ছিলেন মনির হোসেন।
মঙ্গলবার সকালে সিরাজদীখান থেকে মা ও বোনের সঙ্গে আশা মুন্সীগঞ্জ মহিলা কলেজে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষায় দিতে আসেন। কেন্দ্রের সামনে আসতেই মা-বোনের চোখের সামনেই মনির হোসেন তাকে প্রথমে জাপটে ধরেন। এর পর মারধর শুরু করেন। মা-বোনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসার আগেই পরীক্ষার্থীর হাতে থাকা মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে পালিয়ে যান মনির হোসেন।
অভিযুক্ত মনির হোসেন পলাতক থাকায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
মুন্সীগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র হিরা বলেন, ঘটনাটি মুন্সীগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারে, তাতে আমরা সচেষ্ট থাকব।
সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত মনির হোসেন। তাকে গ্রেপ্তার ও পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোন সেট উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।