মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আসামির স্বজনের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামানকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘ওসি তৌহিদুজ্জামানকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। তদন্তে যা পাওয়া গেছে, সেগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’
গত ১৫ মার্চ ওই ওসির ঘুষ লেনদেনের অডিও ফাঁসের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই দিন রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার করে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল আউয়ালকে আহ্বায়ক করে এক সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত উপদপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার (৪২) বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ নিয়ে নিহতের স্ত্রী বীথি বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মাসুদ রানা, রুমেল হক, খলিলুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সুদের টাকা দিতে না পারায় গত বছরের ৬ মার্চ লালমনিরহাট থেকে হাসানকে মোটরসাইকেলে তুলে আনেন মাসুদ। তিনি হাসানকে নিজ বাসায় এক মাসের বেশি আটকে রেখেছিলেন।
এ মামলার সবশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন সদ্য বদলি হওয়া ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান। তার সঙ্গে আসামির দুই স্বজনের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়। অভিযোগপত্র থেকে দুই আসামির নাম বাদ দেওয়া ও আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা হয়। কিন্তু এক আসামির নাম বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিলে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে ফোনালাপ হয়।