মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, সকালে আদালতে উপস্থিত হয়ে মাদক মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত পরীমনিসহ তিনজনের জামিন মঞ্জুর করে।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, পরীমনির বাসায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমানে বিদেশী মদ, আইস ও এলএসডি রাখার অভিযোগ রয়েছে।
তবে উদ্ধার করা মাদক ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে পরীমনির আইনজীবীর।
গত রোববার শুনানির দিন ধার্য থাকলেও পরে সেই তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ৫ই জানুয়ারি ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
পরীমনি ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
এর আগে, ১৫ই নভেম্বর নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একইসঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত ১০-এ বদলি করা হয়।
গত ৩১শে আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন এই চিত্রনায়িকা।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ই আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।