রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার পাঁচটি স্বর্ণের বার ও ৫০টি স্বর্ণের চেইনসহ সালেহকুজ্জামান নামের এক গাড়িচালককে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। সালেকুজ্জামান সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের গাড়িচালক।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক তিনি জানান, সালেকুজ্জামান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২১ নম্বর গেইট ব্যবহার করে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের টয়লেট থেকে স্বর্ণের বার ও স্বর্ণের চেইনগুলো সংগ্রহ করেন। পরে এই স্বর্ণগুলো নিয়ে তিনি কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তার আচরণ এবং গতিবিধি দেখে এপিবিএনের গোয়েন্দাদলের সন্দেহ হয়।
জিয়াউল হক বলেন, গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন এবং পরবর্তী সময়ে তিনি স্বর্ণ চোরাচালানের কথা স্বীকার করেন। এরপর তার শরীর তল্লাশি করলে তিনি নিজ হাতেই স্বর্ণের প্যাকেটগুলো বের করে দেন।
এপিবিএনের এ কর্মকর্তা বলেন, স্বর্ণের বারগুরেঅ কালো স্কচটেপে মোড়ানো ছিলো এবং স্বর্ণের চেইনগুলো সাদা স্কচটেপে মোড়ানো ছিল। পাঁচটি স্বর্ণের বার (প্রতিটি বারের ওজন ৯৯ দশমিক ৯৬ গ্রাম) পাওয়া যায়। বারগুলোর মোট ওজন ৪৯৯ দশমিক ৬২ গ্রাম, স্বর্ণের চেইনের ওজন ৩২৩ দশমিক ৯০ গ্রাম। বার ও চেইন মিলে মোট স্বর্ণের ওজন ৮২৩ দশমিক ৫২ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮২ লাখ টাকা।
জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা জানি যে ঈদকে সামনে রেখে একটি চক্র বিমানবন্দরকে ব্যবহার করে চোরাচালানে সক্রিয় হয়েছে। এই ধরনের প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গত বুধবার থেকে চোরাচালানবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ অভিযানের তৃতীয় দিনে এই স্বর্ণ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের বার এবং স্বর্ণের চেইনের বিষয়ে ফৌজদারি আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
