চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ আগুনে নিহত প্রত্যেককে দুই কোটি টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিট আবেদনে বিস্ফোরক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার দুটি মানবাধিকার সংস্থা ল’এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সিসিবি ফাউন্ডেশনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের এবং এ কে এম ফয়সাল হক এই রিট পিটিশন দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়েছে, গত ৪ জুন শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে প্রায় অর্ধশত নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। অনেকেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। খবরে প্রকাশ স্মার্ট গ্রুপের বিএম কন্টেইনার নামক কোম্পানীর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা ছাড়াই মজুদ করার কারণে আগুনে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফায়ার সার্ভিসের কাছে মজুদ করা রাসায়নিক পদার্থগুলোর প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকায় অনেক উদ্ধারকর্মী নিহত এবং আহত হয়েছেন।
রিট পিটিশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, বিএম কন্টেইনার বিডি লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালকসহ ২০ জনকে বিবাদি করা হয়েছে।
রিট আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী জীবনের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। ফলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ সরাসরি লংঘন করেছেন। রিট পিটিশনে নিহত প্রত্যেককের পরিবারকে দুই কোটি টাকা এবং আহত প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বিনামূল্যে দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।