প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড

১১ বছরে ৯৫ বার পিছিয়েও শেষ হয়নি মামলার তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৪৮:৩০ | আপডেট: ২ years আগে
 ১১ বছরে ৯৫ বার পিছিয়েও শেষ হয়নি মামলার তদন্ত
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর আজ। এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৯৫ বার পেছানো হয়েছে।

সবশেষ তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব বলছে, মামলার অগ্রগতি হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার ও স্বজনরা বলছেন, ৯৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পিছিয়ে শুধু সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হন ওই সাংবাদিক দম্পতি। ঘটনার পরের দিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ। একই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। তবে এর দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র‌্যাবকে। সেই থেকে ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, ‘আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। শুধু এতটুকু বলতে পারি, তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে কাজ করছেন না। আমাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। অথচ প্রতিবছর তারা নিয়মমাফিকভাবে বলে আসছেন, দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘গত এক বছরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে চারবার দেখা করেছি। সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়গুলো সুরাহা করতে বলেছি। তিনি বারবার কথা দিয়েছেন। আমরা আসার পরই তিনি সাংবাদিকদের দাবি ভুলে গেছেন।’

তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত কোনো হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তে নেমে তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে পেছনের কারণ খোঁজেন। এরপর আসামি শনাক্তকরণের চেষ্টা করেন, কোনো ধরনের ক্লু পেতে জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এসব একটি মামলা তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ের কার্যক্রম। আর ১১ বছর তদন্তের পরও সাগর-রুনি হত্যা মামলা ঠিক এরূপ প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। এখনো আসামি শনাক্তকরণ, জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা ও নিহতদের খোয়া যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টায় আটকে আছে তদন্ত কার্যক্রম।