জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। তার কন্যা এমন কোনো আইন পাস করবেন না, যা বাকস্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জিপি (গভর্নমেন্ট প্লিডার) ও পিপিদের (পাবলিক প্রসিকিউটর) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলেছেন, যা অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে নেই। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে এটিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে যুক্ত করেছেন এবং তার কন্যা এমন কোনো আইন পাস করবেন না, যা বাকস্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে দেখা গেছে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলেই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি যে, মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে কাউকে গ্রেপ্তার করা উচিত নয়। আদালত যদি এটিকে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ মনে করে, তাহলে এই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, সময়মতো বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা হারাবে। সুতরাং যেকোনো মামলার সমাধানের জন্য আমাদের সময় কমিয়ে আনতে হবে। আমরা আদালত ও বিচারকের সংখ্যাও বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি।’
সাক্ষ্য আইন আপডেট করা হচ্ছে, এই আইনের ১৫৫ (৪) ধারা বাতিল করা হচ্ছে। এনআই অ্যাক্ট, ১৮৮১ সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।