প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৫৩:৩৬ | আপডেট: ১ year আগে
জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

অস্ত্র আইনের মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার ও যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম এবং তার ৭ দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার আমাদের সময়কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত ২৮ আগস্ট মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন।

মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- জিকে শামীমের সহযোগী সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

জিকে শামীমের অস্ত্র মামলায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়েছে মর্মে ডকুমেন্ট দেখালেও তা যাচাইয়ে তার সঠিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই তার অস্ত্রটি অবৈধ। তিনি ওই অবৈধ অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথমে এস.এম বিল্ডাস কোম্পানিতে যোগদান করেন। পরে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামি জিকে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে যোগদান করেন। তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্রটি ৭০ হাজার টাকায় ক্রয় করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করেন। তাই তার নামে অস্ত্র আইনের ১৯(ক)/২১/২৩ ধারার অভিযোগসহ প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৮ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৮ ধারার তার নামে পৃথক একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

এছাড়া অন্য আসামিরা নিরাপত্তার অযুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করে অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯(ঙ)/২১/২৩ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়।