প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৪ বছরে ১১০৯ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩২:০৮ | আপডেট: ১ year আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৪ বছরে ১১০৯ মামলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত চার বছরে এক হাজার ১০৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের নামে বেশি মামলা হয়েছে।

শনিবার ‘কী ঘটছে: বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’-এর ব্যবহারপ্রবণতা ও নিদর্শন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানানো হয়। এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

ওয়েবিনারে জানানো হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন ৪ বছরে ১ হাজার ১০৯টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে বলে ওয়েবিনারে জানানো হয়। এসব মামলায় অভিযুক্ত ২ হাজার ৮৮৯ জন। এর মধ্যে আটক হয়েছেন ১ হাজার ১১৯ জন, অর্থাৎ মোট অভিযুক্ত মানুষের ৩৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ আটক হয়েছে। তবে এই তথ্য মামলার পূর্ণাঙ্গ চিত্র নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলার তথ্য প্রকাশ করতে চায় না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় ১ হাজার ২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে। এর মধ্যে ৩০১ জন রাজনীতিবিদ। সাংবাদিক রয়েছেন ২৮০ জন। শিক্ষার্থী ১০৬ জন এবং শিক্ষক আছেন ৫১ জন। তবে অভিযুক্ত অন্যদের চেয়ে শিক্ষার্থীদের আটকের হার বেশি। মোট অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭১ শতাংশই আটক হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ১৪০টি। এসব মামলায় অভিযুক্ত ২১০ জন, এর মধ্যে আটক হয়েছেন ১১৫ জন। রাজনীতিবিদদের মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলার অধিকাংশ বাদী তাদের সমর্থকেরা।

ওয়েবিনারে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ডিস্টিঙ্গুইশড অধ্যাপক ও সিজিএসের উপদেষ্টা আলী রীয়াজ বলেন, ভীতির পরিবেশ তৈরি করাই ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেন সবাই সার্বক্ষণিক আতঙ্কে থাকেন, প্রতিবাদ না করেন।

এ সময় গ্লোবাল টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যায়, গত চার বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগের চেয়ে অপপ্রয়োগ হয়েছে বেশি। জামিন-অযোগ্য ধারার নিবর্তনমূলক ব্যবহার বেশি হয়েছে। প্রগতিশীল গোষ্ঠী এই আইনে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।

সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্য দেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল’র জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সাইমুম তালুকদার, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এলিনা খান প্রমুখ।