প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

পিটিয়ে জখমের পর চোখ উপড়ে সোর্সকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৪৪:৪০ | আপডেট: ৯ মাস আগে
পিটিয়ে জখমের পর চোখ উপড়ে সোর্সকে হত্যা

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ সাতপাখি এলাকায় সাইফুল ইসলাম (২৪) নামের পুলিশের সোর্সকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০। এ সময় তাদের কাছ থেকে সুচালো লোহার রড, একটি ভাঙা ক্রিকেট ব্যাট, একটি ব্যাটন ও ছয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-১০-এর কারওয়ান বাজরের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। আটক আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার যুবকরা হলেন মো. রাজন হোসেন (৩১), মো. জানে আলম (৩৬), মো. সুমন ওরফে গর্দা সুমন (২৫), মো. লিটন হোসেন (২৬), মো. দিপু (২৩), মো. সরোয়ার আকন্দ (২৬), মো. সজীব (২৯)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

এর আগে সোমবার নিহত সাইফুলের বোন বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‌্যাব জানায়, গত ২৮ জুন রাজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তখন রাজন ধারণা করেন, তাকে গ্রেপ্তারের পেছনে সাইফুলের হাত রয়েছে। এর আগে জানে আলম, সুমন ও তার মা গ্রেপ্তার হওয়ার পেছনেও সাইফুলের হাত রয়েছে বলেও ধারণা করেন।

গত ১৯ জুলাই রাজন জামিনে মুক্তি পেয়ে জানে আলম, সুমন ও অন্য সহযোগীদের নিয়ে সাইফুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরপরও আসামিরা জানতে পারেন সাইফুল চাকরির জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তখন তাড়াহুড়ো করে রাজনের নেতৃত্বে জানে আলম, সুমন, লিটন, দিপু, সরোয়ার ও সজীবসহ ১০-১২ জনের একটি দল গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সাইফুলকে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন।

ওই দিন রাত সাড়ে ১১টায় সাইফুল দোকান থেকে বাসায় ফিরছিলেন। তিনি খেজুরবাগ স্কুল রোডে পৌঁছালে তার পথরোধ করে আসামিরা ক্রিকেট ব্যাট, রড ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে সাইফুল মাটিতে পড়ে গেলে রাজন পাশের একটি দোকান থেকে কাটা চামচ নিয়ে এসে তার চোখ উপড়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

তখন সাইফুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে ঘটনাস্থল থেকে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীকালে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর আসামিরা কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। এরপর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে আসামিরা ঢাকার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে র‌্যাব তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, আসামিরা এলাকায় মাদক ব্যবসা ও অর্থের বিনিময়ে সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করত।