প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন: ৪০ দিন পর মরদেহ হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৬:২৯ | আপডেট: ২ মাস আগে
বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন: ৪০ দিন পর মরদেহ হস্তান্তর

গোপীবাগে ট্রেনে আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো চারজনের মরদেহ ৪০ দিন পর হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে মরদেহ হস্তান্তরের খবর শুনে সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে অপেক্ষা করেন স্বজনরা। 

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইতোপূর্বে চার পরিবার মরদেহ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন, শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় তাদেরই নাম এসেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। 

নিহতরা হলেন (১) আবু তালহা (২৪), পিতা আব্দুল হক, গাংবথন দিয়া, কালুখালী, রাজবাড়ী। তবে ফরিদপুর রেলস্টেশনের পাশে থাকতেন। সৈয়দপুর সেনাবাহিনী পরিচালিত ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতেন। সে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। সেখান থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার কথা ছিল। দাবিদার ছিলেন তার বাবা।

(২) চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৮), পিতা চিত্তরঞ্জন চৌধুরী, মা ইতি রানী। তেজগাঁও ইন্দিরা রোড পশ্চিম রাজাবাজার (৪৮/এম/১) বাতেন সাহেবের বাসায় থাকতেন। গ্রামের বাড়ি, রাজবাড়ী সদর উপজেলার রঘুনাথপুর। দাবিদার তার ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।

(৩) নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫)।স্বামী আসিফ মো. খান। ৭৬ শরৎগুপ্ত রোড, নারিন্দা, থানা গেণ্ডারিয়ায় থাকতেন। দাবিদার, ভাই, খুরশিদ আহামেদ। আসিফের বাবা আবু সিদ্দিক খান সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা। 

(৪) এলিনা ইয়াসমিন (৪০), স্বামী সাজ্জাদ হোসেন চপল। রাজবাড়ী সদর উপজেলায় গ্রামের বাড়ি। তার বাবার নাম মৃত সাইদুর রহমান। 

তার স্বামী চপল একটি বায়িং হাউসের কমার্শিয়াল সেকশনে চাকরি করেন। বর্তমানে মিরপুরের পীরেরবাগ থাকতেন।