প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

মামলা থেকে মুক্তির কন্ট্রাক্টে আ.লীগ নেতা টিপুকে হত্যা: ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ মার্চ ২০২২ ১৫:৫৪:১৯ | আপডেট: ৩ years আগে
মামলা থেকে মুক্তির কন্ট্রাক্টে আ.লীগ নেতা টিপুকে হত্যা: ডিবি

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে হত্যার মূল শুটার মো. মাসুম ওরফে আকাশ নামের এক পেশাদার খুনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজের নামে থাকা আগের মামলা তুলে নেয়া ও বাড়তি সুবিধা দেয়ার আশ্বাসে টিপুকে হত্যার কন্ট্রাক্ট (চুক্তি) নেয় সে। 

রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবি’র প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি জানান, ঘটনার পাঁচদিন আগে কাট-আউট পদ্ধতিতে একজনকে হত্যার কন্ট্রাক্ট পায় মাসুম।

ডিবি’র প্রধান জানান, হত্যার আগের তিনদিন টিপু রেস্টুরেন্ট থেকে বাসার উদ্দেশ্যে বের হলে রাস্তা অনুসরণ করে গুলি করার প্রস্তুতি নেয় মাসুম। তবে বেশি লোকজন থাকায় সেদিন ব্যর্থ হন। ঘটনার দিন (২৪ মার্চ) এক ব্যক্তি টিপুর রেস্টুরেন্টে অবস্থান করে মাসুমকে আপডেট দিতে থাকেন।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, তার সহযোগী যারা ছিল, এ ঘটনার পেছনে কারা ছিল- তাদের গ্রেফতার করবো। এছাড়া মোটরসাইকেল ও অস্ত্র উদ্ধার করবো।

কত টাকা কন্ট্রাক্ট হয় জানতে চাইলে ডিবি প্রধান জানান, কত টাকার বিনিময়ে তা জানা যায়নি। তবে গ্রেফতার মাসুমের নামে এলাকায় বেশকিছু মামলা রয়েছে। সেই মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য টিপুকে হত্যার কন্ট্রাক্ট পায় সে।

দুজনকে গুলি করে হত্যাকারী মাসুম মোহাম্মদ আকাশ চাঁদপুরের মতলব উপজেলার কাইশকানি এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে। রাজধানীর পশ্চিম মাদারটেকের ৬০/১৫ বাসায় পরিবার নিয়ে থাকে সে। তার নামে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে।

বগুড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ডিএমপি’র গোয়েন্দা শাখার মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বগুড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

হাফিজ আক্তার বলেন, গত ২৪ মার্চ রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনি থেকে বাসায় যাওয়ার পথে শাহজাহানপুর থানার আমতলা এলাকায় অজ্ঞাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার উদ্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে জাহিদুল ইসলাম টিপু ও তার ড্রাইভার এবং রিকশা আরোহী সামিয়া আফরান প্রীতি নামের এক মেয়েকে গুরুতর জখম করে। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও রিকশা আরোহী প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে।