প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

মেডিকেল ছাত্রকে গুলি করা সেই শিক্ষক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৩:০০ | আপডেট: ৮ মাস আগে
মেডিকেল ছাত্রকে গুলি করা সেই শিক্ষক বরখাস্ত

সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রকে গুলি করার ঘটনায় শিক্ষক রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘ডা. মো. রায়হান শরীফ (২১৩৮৯২), প্রভাষক (কমিউনিটি মেডিসিন), শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্ত হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আমিরুল হোসেন আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ছাত্রদের দাবি ছিল ডা. রায়হান শরীফ যেন কলেজে না থাকতে পারে। ইতোমধ্যে তাকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি এসেছে।

জানা যায়, গত সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আইটেম পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক রায়হান শরীফ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে। পরে আহত অবস্থায় তমালকে মনসুর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর উত্তেজিত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ওই শিক্ষককে মারপিট ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ। এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন-স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছ থেকে লাইসেন্সবিহীন দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮১ রাউন্ড তাজাগুলি, চারটি ম্যাগাজিন, দুটি বিদেশি ছোরা, ১০টি বার্মিজ চাকু, দুটি ব্র্যাশ নাকেল, একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

আহতের ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল ওয়াদুদ বাদী আরেকটি মামলা দায়ের করেছে। দুটি মামলা ডিবি তদন্ত করছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।