প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

যেভাবে উদ্ধার হলেন খুলনার সেই রহিমা বেগম

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:০৮:০৫ | আপডেট: ১ year আগে
যেভাবে উদ্ধার হলেন খুলনার সেই রহিমা বেগম

খুলনার বহুল আলোচিত রহিমা বেগমকে ফরিদপুরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরপর রাত ২টার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় দৌলতপুর থানায়।

এরপরই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, রহিমা খাতুন কীভাবে কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে গেলেন, এতদিন কোথায় ছিলেন? বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা। এ বিষয়ে কথা বলেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, রহিমা বেগম ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে রয়েছেন। আরও খোঁজ নিয়ে তারা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এরপর দৌলতপুর জোনের এডিসি আবদুর রহমান ও দৌলতপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই বাড়িতে পৌঁছায়।

পুলিশ দেখে, রহিমা ওই বাড়িতে বসে দুই নারীর সঙ্গে গল্প করছেন। সেখানে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। তবে ওই বাড়ির বাসিন্দারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, রহিমা তাদেরকে জানিয়েছেন তিনি বেশ কয়েকদিন চট্টগ্রাম ও মোকসেদপুরে ছিলেন। এরপর ১৭ আগস্ট বোয়ালমারীতে কুদ্দুসের বাড়িতে যান। তখন তার একটি ব্যাগে ২ প্যাকেট বিস্কুট, কিছু কাগজপত্র ও পরনের কয়েকটি কাপড় ছিল।

জানা যায়, রহিমা যে কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে ছিলেন, তিনি বেশ কয়েক বছর আগে খুলনার সোনালি জুট মিলে চাকরি করতেন। তখন রহিমা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পরে তিনি বোয়ালমারীতে চলে যান। বেশ কিছুদিন আগে রহিমার ছেলে একবার কুদ্দুসের বাড়িতে বেড়াতে যান।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা রহিমা বেগমকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। তিনি কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় তাকে ট্রাকিং করা সম্ভব হয়নি। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।

রহিমা অপহরণ মামলাটির তদন্ত দৌলতপুর থানা পুলিশের কাছ থেকে পিবিআইতে গেছে। তারপরও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ মামলাটির ছায়া তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল। পিবিআই তদন্ত করে দেখবে রহিমা বেগম কীভাবে নিখোঁজ হয়েছিল এবং কোথায় কোথায় ছিলেন? তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুদ্দুসের ছেলে আলামিন, কুদ্দুসের স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন।

রহিমা আসলেই অপহরণ হয়েছিলেন নাকি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বলেন, এটা পিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত উদঘাটন করে জানাবে।