রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম টিপু ও রিকশা আরোহী মোছা. সামিয়া আফরিন প্রীতি।
জাহিদুল ইসলাম টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আর প্রীতি রাজধানীর বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।
ঘটনার সময় টিপু গাড়িতে ছিলেন। গুলিতে তার গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না আহত হয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী প্রীতি রিকশায় ছিলেন। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মনতোষ বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এছাড়া আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আহত গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না বলেন, টিপু স্যারকে নিয়ে মতিঝিলের এজিবি কলোনি থেকে গাড়িতে করে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় যানজট ছিল। শাজাহানপুর আমতলা মসজিদ এলাকায় যাওয়া মাত্রই এক ব্যক্তি হেলমেট-মাস্ক পরে আমাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। আমরা দুজনই গুলিবিদ্ধ হই। পরে দ্রুত আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে স্যার মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আমার স্যারের বাসা খিলগাঁও বাগিচা এলাকায়। তিনি মরহুম মমিনুল ইসলামের সন্তান। তার স্ত্রী ডলি আক্তার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর।
নিহত শিক্ষার্থী প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ে শাহজাহানপুর এলাকায় রিকশায় ছিল। হঠাৎ একটি গুলি এসে তার শরীরে লাগে। সে রিকশায়ই লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের বাসা শাহজাহানপুরের শান্তিবাগ এলাকায় বলে জানান তিনি।
এদিকে, রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্না এখনও চিকিৎসাধীন।