প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

রিজেন্ট সাহেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৩৮:৫১ | আপডেট: ৮ মাস আগে
রিজেন্ট সাহেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড

সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬ (২) দণ্ডিতের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। রায়ের অর্থদণ্ডের টাকা আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে আসামিকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে রায়ে জ্ঞাত আয়ের বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের একই আইনের ২৭ (১) ধারার অভিযোগ দুদক প্রমাণ করতে না পারায় আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ১০ আগস্ট দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন আদালত।

সম্পদের হিসাব দাখিল না করা এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূত ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অর্জনের অভিযোগে কমিশনের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

এর আগে ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার হোতা এ আসামির অস্ত্র আইনে একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০২০ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকার আরেকটি আদালত চেক জালিয়াতির মামলায় সাহেদকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ উঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।

এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ওই বছর ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র মামলাসহ ৩৬টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়।

অপর মামলাগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং গুলি উদ্ধারের ঘটনায় তাকে আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার এক নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল।