প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

রিট শুনানির আগেই দেশ ছেড়েছেন সম্রাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪৮:৪৩ | আপডেট: ২ years আগে
রিট শুনানির আগেই দেশ ছেড়েছেন সম্রাট

চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছেন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার আসামি যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এ সংক্রান্ত রিট শুনানির একদিন আগেই কলকাতা যান তিনি।

রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির সময় সম্রাটের আইনজীবী মনসুরুল হক আদালতকে এ কথা জানান।

আদালতকে তিনি জানান, আদালতের অনুমতি নিয়েই শনিবার রাতে চিকিৎসার জন্য কলকাতা গিয়েছেন তিনি।

জবাবে আদালত সম্রাট সঠিক সময়ে দেশে ফিরেছেন কিনা, আগামী ১ আগস্টের মধ্যে সেটি জানাতে নির্দেশ দেন।

এদিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত ১ জুন সম্রাটকে দুই মাসের জন্য পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় দিয়ে চিকিৎসা করাতে এক মাসের জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন ঢাকার বিশেষ আদালত ৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল আলম। ওইদিন আইনজীবী আফরোজা বলেছিলেন, তার মক্কেল (সম্রাট) কিডনিসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আগেই আবেদন করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে পাসপোর্ট তার জিম্মায় দেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে। শুনানি শেষে আদালত বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দেয়।

এরপর গত ১৩ জুলাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আপিল বিভাগের রায় ফলো না করেই তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত বছরের ২২ অক্টোবর সম্রাট স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী স্থায়ী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন বহাল রাখেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এর পর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

গত বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। কারাগারে যাওয়ার ৩১ মাস পর মুক্তি পান তিনি।