প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

‘রোজায় ক্লান্ত, ইফতারের পর মারিও’ বলেও বাঁচতে পারেনি যুবক

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ এপ্রিল ২০২২ ০৯:৪০:৪৬ | আপডেট: ৩ years আগে
‘রোজায় ক্লান্ত, ইফতারের পর মারিও’ বলেও বাঁচতে পারেনি যুবক

‘সারাদিনের রোজায় বেশি ক্লান্ত, মারতে চাইলে ইফতারের পর মারিও (প্রহার করো)’ এমন আকুতি জানিয়েও জীবন রক্ষা হলো না মোরশেদ আলী ওরফে বলী মোরশেদের (৩৮)। ইফতারের পূর্বমুহুর্তেই জনসম্মুখে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়ার মৃত মাওলানা ওমর আলীর ছেলে মোরশেদ।

নিহতের ভাই জয়নাল আবেদিন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ভাই মোরশেদ ইফতার কিনতে চেরাংঘর বাজারে যান। সেখানে স্থানীয় মাহমুদুল হক, জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ ১৫-২০ জন লোক লোহার রড, ছুরি ও লাঠি নিয়ে মোরশাদ আলীর ওপর হামলা চালায়। হামলায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তখন মোরশেদ হামলাকারীদের বলছিলেন, ‘সারাদিনের রোজায় বেশি ক্লান্ত, মারতে চাইলে ইফতারের পর মারিও।’এরপরও তারা মোরশেদকে মারধর ও কুপিয়ে গুরতর আহত করে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় মোরশেদকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিউতে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, সরকারি একটি সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে ইজারা নিয়ে পরিচালনা করে আসছিল মোরশেদের পরিবার। সেই সেচ প্রকল্পের পানির স্কিম নিয়ে হামলাকারীদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে মোরশেদ আলীর বিরোধ চলছিল। কিছুদিনের মধ্যে ওই সেচ প্রকল্প নতুন করে ইজারা হওয়ার কথা রয়েছে। ইজারা পাওয়ার জন্য মোরশেদের পরিবার আবারো আবেদন করলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মাহমুদুল হক মেম্বার, জয়নাল আবেদিন হাজারি, কলিম উল্লাহ, আবদুল মালেকসহ আরও কয়েকজন মিলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা আলালের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটে।