ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত সকল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একই সাথে এ ঘটনায় আহত ও নিহতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আহতদের মধ্যে কেউ চিকিৎসায় অর্থ সাহায্য চেয়ে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসককে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
আদেশে সকল নৌযানের ফিটনেস সংক্রান্ত তথ্য ৯০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া লঞ্চ দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, নৌ পরিবহন সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালালসহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে ২৭ ডিসেম্বর সকল নৌযানের ইঞ্জিনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার এই রিট করেন।
অপরদিকে ২৬ ডিসেম্বর আরও একটি রিট করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। সেখানে নিহতদের আপাতত ১০ লাখ ও আহতদের পাঁচ লাখ টাকা করে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।
গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে।