ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় মালিককে দায়ী করে নৌ মন্ত্রণালয়ে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চালক, মাস্টার ও সার্ভেয়ারকেও দায়ী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে আগুনের সূত্রপাত হয় ইঞ্জিন রুম থেকে।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মো. আরাফাত হোসেনকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে গত ২৭ ডিসেম্বর।
তদন্ত কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, যেসব আইন লঙ্ঘনের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেসব শনাক্ত করা, একই লঞ্চ আগে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল কি না এবং এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে করণীয় জানাতে বলা হয়। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এদিকে ওই ঘটনায় দগ্ধ আরও একজন গতকাল ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। এ নিয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হলো। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। অনেকে নদীতে লাফিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারলেও কেবিনে থাকা অধিকাংশ যাত্রী জীবন্ত দগ্ধ হন।