প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

সাঈদীর মৃত্যুতে চিকিৎসককে হত্যার হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৩৭:২৮ | আপডেট: ৯ মাস আগে
সাঈদীর মৃত্যুতে চিকিৎসককে হত্যার হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এই চিকিৎসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হৃদরোগ বিভাগে কর্মরত।

বিষয়টি অবগত করে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই চিকিৎসক। মঙ্গলবার রাতে তিনি এই জিডি করেন।

ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামানকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে তিনি থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি করেছেন। জিডিতে তিনি ফেসবুক গ্রুপ ও ম্যাসেঞ্জারে হুমকির বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। এ ঘটনা তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জিডিতে মোস্তফা জামান উল্লেখ করেছেন, গত ১৩ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে সাঈদী মৃত্যুবরণ করেন। আমিও বিশেষজ্ঞ টিমের একজন সদস্য হিসেবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করি।

জিডিতে তিনি আরও বলেন, আমি বর্তমানে কতিপয় ব্যক্তিদের আচরণে ভীত শঙ্কিত। কয়েকটি ফেইসবুক ও ইউটিউব পেইজের ব্যবহারকারী এবং তাদের অনুসারী ব্যক্তিরা যে কোন সময় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের খুন জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করা।

ধানমন্ডি থানায় উপস্থিত হয়ে জিডি করে ডাক্তার জামান বলেন, আমরা একজন সাধারণ রোগীকে যেভাবে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করি তাকে (সাঈদী) সেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার চিকিৎসায় কোন ধরনের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। আমরা তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়েছি, কোন রকম ভুল চিকিৎসা বা অপচিকিৎসার ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে সাঈদীর চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার দুপুর তিনটায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল বিএসএমএমইউ’র। কিন্তু বুধবার সকালে জানানো হয়, অনিবার্য কারণবশত পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।