প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে কথা বলতে রাজি নয় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ এপ্রিল ২০২২ ২২:১০:৫২ | আপডেট: ৩ years আগে
সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে কথা বলতে রাজি নয় পুলিশ
ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টিপকাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেককে শনাক্তের পর পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশের একটি কমিটিও।

নারীর প্রতি পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেকের সহিংস আচরণ নিয়ে যখন দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে তখনই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে আসে- টিপকাণ্ডের সময় নাজমুলের মোটরসাইকেলের পেছনে তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ছিলেন। চলন্ত অবস্থায় তার স্ত্রীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার জেরেই লতা সমাদ্দারের সঙ্গে নাজমুলের বাকবিতণ্ডা শুরু হয় বলেও দাবি করা হয়।

সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই সিসিটিভি ফুটেজের একটি স্থিরচিত্র শেয়ার করে দাবি করেন- মোটরসাইকেলে বসা পুলিশ সদস্য নাজমুলের পেছনে হলুদ রঙের অস্পষ্ট অংশটি তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পোশাক।

নাজমুলের বাসা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রত্যেকটি সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। মূলত ওই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে কনস্টেবল নাজমুলকে শনাক্ত করা হয়।

এদিকে সিসিটিভির ফুটেজের আরও কিছু স্থিরচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, কনস্টেবল নাজমুলের পেছনে তার স্ত্রী ছিল না। যে হলুদ রঙের বস্তুটিকে নাজমুলের স্ত্রী হিসেবে দাবি করা হচ্ছে, সেটি মূলত একটি হলুদ রঙের ব্যাগ।

এ ব্যাপারে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার দ্য বিজনেস পোস্টকে বলেন, প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারের জিডির পর আমরা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেককে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ''সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে যেমন আছে তেমনি বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছেও আছে। আপনারাও হয়তো সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছেন। আর তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।''

ভুক্তভোগী ওই নারী তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক। ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, হেঁটে কলেজে যাওয়ার সময় পাশ থেকে পুলিশের পোশাক পরিহিত মোটরসাইকেলে থাকা মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি তাকে ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে গালি দেয়। প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি।

ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকে ওই পুলিশ সদস্য হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী।

এদিকে বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তির এই কাণ্ড। অনেকে আবার পুলিশ বাহিনীকে কটাক্ষ করে পোস্ট দিচ্ছেন ফেসবুকে।