প্রচ্ছদ ›› অপরাধ

১২৪৩ কোটি টাকা পাচার: ইয়াসিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪৭:২৪ | আপডেট: ১ year আগে
১২৪৩ কোটি টাকা পাচার: ইয়াসিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ

জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট এবং পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধান করে তাদের দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ইয়াসিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আদালত আগামী ৯ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

‘দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে ইয়াসিন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াসিন চৌধুরী। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তিনি দুবাইয়ে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ইয়াসিন চৌধুরী বিদেশে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী নানা তৎপরতাও শুরু করেছেন। তিনি সরকারবিরোধী সবাইকে আন্দোলনে মদদ ও অর্থের জোগান দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গেও তার যোগাযোগ হয়েছে। নুরের দল পরিচালনা ও বিভিন্ন আন্দোলনে অর্থের জোগান দিচ্ছেন ইয়াসিন চৌধুরী।

সূত্র উল্লেখ না করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইয়াসিন চৌধুরীর কাছে শুধু একটি ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ২৪৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফান্ডেড বা নগদ ঋণ ৯১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং নন-ফান্ডেড (এলসি ও ব্যাংক গ্যারান্টি) ৩২৫ কোটি টাকা। এফএমসির এমডি ইয়াসিনের কাছে মোট ১১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬০ টাকা পাবে দ্য বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েও পরিশোধ করেনি এফএমসি ডকইয়ার্ড।

বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড নেগোশিয়েবল ইন্সটুমেন্ট (এনআইন) অ্যাক্টের ইয়াসিন চৌধুরী ও তার দুই স্ত্রী খাতুনে জান্নাত ও হামিদা খাতুনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের একটি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।