রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় আট কেজি স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক খোরশেদ আলম আসামিকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিমানবন্দর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার (জিআরও) উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাফফর আলী রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত রোববার রাত ১০টায় বিমানবন্দরের হ্যাংগারের সামনে থেকে তাকে আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। ওইসময় তার কোমরে লুকানো অবস্থায় ৬৮টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার ওজন ৭ কেজি ৮৮৮ গ্রাম।
মামলা থেকে জানা যায়, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোন সাইডে সাদা পোশাকে নজরদারি করছিল এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা দল। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট বিজি-৩৮৩ ঢাকায় অবতরণ করে। সব কার্যক্রম শেষে বিমানটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে হ্যাংগারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং হ্যাংগারের সামনে পার্ক করে রাখা হয়।
বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্যান্য স্টাফরা তাদের কাজ শেষ করে একে একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখছিলেন এপিবিএন গোয়েন্দারা। বিমানের সব কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর রাত ১০টায় যখন বিমানে আর কেউ ছিল না, তখন খুবই দ্রুততার সঙ্গে বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে বোয়িং-৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়। তার চলাচলের ধরন এবং মুভমেন্ট দেখে সন্দেহ হয় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের গোয়েন্দা দলের।
কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন শফিকুল নেমে আসেন এবং দ্রুততার সঙ্গে স্থান ত্যাগের চেষ্টা করেন তখন তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে হ্যাংগারের সামনেই বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছে ৬৮টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এ সব স্বর্ণের বারের ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
