প্রচ্ছদ ›› শিক্ষা

২৮ দিন পর ক্লাসে ফিরলেন ইবি'র ফুলপরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ মার্চ ২০২৩ ২০:০১:০৩ | আপডেট: ২ years আগে
২৮ দিন পর ক্লাসে ফিরলেন ইবি'র ফুলপরী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুন ২৮ দিন পর ক্লাস করেছেন। তিনি ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ ভবনে সহপাঠীদের সঙ্গে বিভাগের ক্লাসে অংশগ্রহণ নেন ফুলপরী।

ক্লাস শেষে ফুলপরী বলেন, ‘অনেকদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে আগের মতো ক্লাস করতে পারছি, অনেক ভালো লাগছে। বন্ধুদের সঙ্গে আগের মতোই আছি, কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

হলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি রোববার হলে উঠেছি। এখন পর্যন্ত এমন কিছু মনে হয়নি। হলের আপুরাও সুন্দরভাবে কথা বলে, অনেক হেল্পফুল। তাছাড়া হলের স্যাররা সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন।’

অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ফুলপরী বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের পাঁচ জনকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। তাই এটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বখতিয়ার হাসান বলেন, ‘ফুলপরীর বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। ক্লাসে এসে যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না পড়তে হয় এ জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’

গতকাল রোববার বেলা ১২টায় বাবা আতাউর রহমানের সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসেন ফুলপরী। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আবাসিক হলের বকুল ব্লকের ৫০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন তিনি। এখানে আজ থেকে তার নামে বরাদ্দ হওয়া আসনে থাকবেন তিনি।

এর আগে গত ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন ফুলপরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল থেকে স্থানান্তরিত করে তার পছন্দমতো বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসন বরাদ্দ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রয়ারি ভুক্তভোগী ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়। এ ঘটনায় উচ্চ আদালত তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়, হল ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা মেলে। তাই জড়িত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, হালিমা খাতুন ঊর্মি, ইসরাত জাহান মিম ও মোয়াবিয়া জাহানকে হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এ ছাড়া গত ১ মার্চ উচ্চ আদালতের আদেশে নির্যাতনে জড়িত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, হালিমা খাতুন ঊর্মি ইসরাত জাহান মিম ও মোয়াবিয়া জাহানকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়।