ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে আগাম অবসর চান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিয়া রহমান। কয়েক সপ্তাহ আগে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদের কাছে এ আবেদন করেন তিনি।
সোমবার অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি অ্যাকাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে পদাবনমন ঘটিয়ে সহকারী অধ্যাপক পদ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। একই অপরাধে সামিয়ার গবেষণা প্রবন্ধের সহলেখক অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের দুই বছর পদোন্নতি রহিত করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে আসলে আলোচনায় আসেন সামিয়া রহমান।
এদিকে, সামিয়া রহমান ৪ মাসের অর্জিত ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে যান। গত ৩১ মার্চ তার ছুটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর বিনা বেতনে আরও ১ বছরের ছুটির জন্য আবেদন করেন সামিয়া। তবে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করেনি।
অবসরের আবেদনের বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, ‘অধ্যাপক সামিয়া রহমান চাকরির বয়স শেষ হওয়ার একটু আগেই অবসরে যেতে চান। উনি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। ওনার আবেদনের কপিটি বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এখন সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে সিন্ডিকেট কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটার ওপর।’
২০৪০ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক সামিয়া রহমানের চাকরির মেয়াদ আছে বলে তথ্য দেন ড. মনসুর।
এদিকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সামিয়া রহমানের আগাম অবসর আবেদনের কপির একটি নোট উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। উপাচার্যের সিদ্ধান্তের ওপর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, ‘নোটটা হাতে পেলে এরপর এ নিয়ে কথা বলা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র বলছে , সামিয়া রহমান চার মাসের অর্জিত ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে যান। এখনও তিনি দেশের বাইরেই আছেন। গত ৩১ মার্চ তার ছুটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিনা বেতনে আরও এক বছরের ছুটির জন্য আবেদন করেন সামিয়া। তবে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করেনি।