প্রচ্ছদ ›› শিক্ষা

আন্ত:স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কক্সবাজারের চ্যাম্পিয়ন উখিয়ার ভালুকিয়া পালং বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:২৪:৪৪ | আপডেট: ১ year আগে
আন্ত:স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কক্সবাজারের চ্যাম্পিয়ন উখিয়ার ভালুকিয়া পালং বিদ্যালয়

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শিশুদের শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্রীড়া ও পুষ্টি কার্যক্রম পরিচালনা করছে উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। এছাড়াও সংস্থাটি মোবাইল স্পোর্টস লাইব্রেরীর (এম.এস.এল) মাধ্যমে শিশু এবং কিশোরদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা সামগ্রী ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। উপজেলার ৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

৪৯ তম জাতীয় গ্রীষ্মকালীন আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়ও কক্সবাজার জেলার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এ প্রকল্পের আওতাধীন উখিয়ার ভালুকিয়া পালং মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার স্টেডিয়ামে উখিয়া উপজেলার প্রতিনিধিত্ব করছে জাতীয় আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের খেলায়। 

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা পর্যায়ে আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যা চলে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ফুটবলে বালক-বালিকা উভয় শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভালুকিয়া পালং মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

কাবাডি এবং হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় বালক শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়াও হ্যান্ডবল বালিকা শাখায় চ্যাম্পিয়ন ভালুকিয়া পালং মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

এর আগে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে উখিয়া উপজেলার প্রতিনিধিত্ব করেছে ভালুকিয়া পালং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নারী ফুটবল দল।

এদিকে এম.এস.এলের আওতায় শিশু এবং কিশোরদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী ধার দেয়া হয়। এছাড়াও ফুটবল, সাল্লুম, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন খেলার উপরে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোবাইল স্পোর্টস লাইব্রেরীতে প্রায় সব ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী রয়েছে। এনলিস্টেড সকল শিশু এবং কিশোরেরা নিয়মিত খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে। এদের মধ্যে বিশেষ খেলায় পারদর্শীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতি মাসে ক্যাম্প ক্লিনিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। একইসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফলজ, বনজ ও এবং ঔষধি গাছ রোপণের কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে। করোনা ও বিভিন্ন রোগ নিয়েও সচেতন করা হচ্ছে শিশু-কিশোরদের।

এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় ১৯ নং শরণার্থী শিবিরের এ-২ ব্লকে একটি অস্থায়ী শিশুবান্ধব ক্রীড়া ও পুষ্টি কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি কম্পোনেন্ট রয়েছে, যার মাধ্যমে শিশু এবং কিশোরেরা বিভিন্ন রাইডে অংশগ্রহণ করতে পারে। সেখানে রয়েছে একটি ই-হাবও।