প্রচ্ছদ ›› শিক্ষা

উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হলো ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৯:০৫:০৫ | আপডেট: ১ year আগে
উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হলো ঢাবির ৫৩তম সমাবর্তন
ইউএনবি ছবি

গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে কার্জন হল, কলা ভবন, অপরাজেয় বাংলাসহ পুরো ক্যাম্পাস ছিলো কালো পোশাকের দখলে।

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন। নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর জ্যাঁ তিরোল সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সম্মানসূচক ‘Doctor of Laws’ (Honoris Causa) ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। সাইটেশন পাঠ করেন প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সত্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সকল প্রকার সংকীর্ণতা ও ধর্মান্ধতা থেকে নিজেকে এবং পরিবারের সদস্যদের মুক্ত রাখতে হবে। প্রগতি, আধুনিকতা ও সহনশীলতার দিকে আরো এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্জন যেন সমাবর্তন আর সার্টিফিকেটেই সীমাবদ্ধ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আজকের এই অর্জনের পিছনে বাবা-মা, শিক্ষকমণ্ডলী এবং রাষ্ট্রের যে অবদান ও ত্যাগ রয়েছে, তা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবজ্ঞাননির্মাণের ব্রতকে সামনে রেখে একদিকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে; অপরদিকে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মতো প্রযুক্তিমুখ্য বিশ্বব্যবস্থার উপযোগী করে এর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বহুমুখী বাস্তবতাকে সামনে রেখে এই বিদ্যাপীঠ আগামী একশ বছরে কোন পথে এগিয়ে যাবে তা নির্ধারণে প্রয়াস চলছে।’

সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর জ্যাঁ তিরোল বলেন, ‘পেশাজীবনে সফলতা অর্জনের জন্য গ্র্যাজুয়েটদের আত্মবিশ্বাস, দায়িত্ববোধ ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পরিকল্পিত উপায়ে কঠোর পরিশ্রম করলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।’

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য ও অগ্রগতি অর্জনের জন্য তিনি বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

উল্লেখ্য, এই সমাবর্তনে ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক অংশগ্রহণ করেন।