প্রচ্ছদ ›› শিক্ষা

চবির ছাত্র হোস্টেল থেকে ছাত্রী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৯:৩৯ | আপডেট: ১ year আগে
চবির ছাত্র হোস্টেল থেকে ছাত্রী আটক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। এ সময় ছাত্র হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে এক ছাত্রীকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বুধবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম শহরের বাদশা মিয়া সড়কের চারুকলা ইনস্টিটিউটে পুলিশের সহায়তায় এই অভিযান চালানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্লাসে ফেরা নিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা এবং বহিরাগতদের উচ্ছেদে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১০৫ নম্বর কক্ষ থেকে ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অপর আরেকটি কক্ষ থেকে মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘ক্লাসে ফেরা নিয়ে ছাত্রদের দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে। তাই যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে এবং বহিরাগত আছে কি না, তা দেখতে আমরা রাতে চারুকলায় অভিযান চালিয়েছি। এ সময় ছাত্রদের হোস্টেলের একটি কক্ষে অবস্থানরত এক ছাত্রীকে আটক করি। নিয়মানুযায়ী হোস্টেল ওয়ার্ডেনের অনুমতি ছাড়া রাতে কিংবা দিনে কোনো সময়ই ছাত্রীরা ছাত্রদের হোস্টেলে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু ওই ছাত্রী কোনো অনুমতি না নিয়ে অবস্থান করায় তাকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অপর আরেকটি কক্ষে কিছু মাদকদ্রব্যও পাওয়া যায়।’

জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, ‘রাতে চারুকলার দুই গেট দিয়েই পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি আসে। এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসছিল। যার বাসায় যাবে, সে চারুকলায় অপেক্ষা করছিল। প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ এসে সবাইকে রুমে যেতে বলে, ওই সময় ওই ছাত্রীও রুমে গিয়ে বসে যায়। এর পরই যার জন্য অপেক্ষা করছিল সে আসে। পরে সে বিষয়টা বিস্তারিত খুলে বললে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে মুচলেকার বিষয়টা একটু বাড়াবাড়ি হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে ৯৩ দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আরেকটা অংশ ক্লাসে ফেরার দাবিতে পাল্টা অবস্থান নেয়। এর আগে গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন দাবি মানতে ইতিবাচক সাড়া দিলেও পরে ২২ দফা দাবি মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।

শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, মূল ক্যাম্পাস ছাড়া তাদের এই ২২ দফা দাবির সবগুলো পূরণ করা সম্ভব নয়। এর বাইরে ১১ বছর ধরে দৃশ্যমান কোনো সংস্কার কিংবা অগ্রগতি তারা দেখেননি। তাই মূল ক্যাম্পাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা আর থাকতে চান না। এক দাবিতেই গত ৮২ দিন ধরে তারা আন্দোলন চালিয়ে যান।

সর্বশেষ আন্দোলনের বিষয়ে ২১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী। পরদিন দ্বিতীয় দফায় জেলা প্রশাসক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে খোলা মাঠে ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নেন।