প্রচ্ছদ ›› শিক্ষা

‘টার্গেট ছিল মেধাতালিকায় নাম থাকা’

কামাল মৃধা, রাজশাহী
২৪ এপ্রিল ২০২২ ১৬:২০:১০ | আপডেট: ২ years আগে
‘টার্গেট ছিল মেধাতালিকায় নাম থাকা’

‘আমার টার্গেট ছিল মেধাতালিকায় যাতে নাম থাকে। কিন্তু এ তালিকায় প্রথম হবো এমন ধারণা ছিলো না’- এমন মন্তব্য করেন, সহকারী জজ পরীক্ষায় মেধাতালিকায় দেশ সেরা সুমাইয়া।

বৃহস্পতিবার চতুর্দশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সুমাইয়া সহকারী জজ নিয়োগের জন্য বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং মনোনীত ১০২ জনের তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।

ফলাফল পাওয়ার পর সুমাইয়া বলেন, ‘আমার টার্গেট ছিল মেধাতালিকায় যাতে নাম থাকে। কিন্তু এ তালিকায় প্রথম হবো এমন ধারণা ছিলো না। ভালো ফল অর্জনে আমার যে দায়িত্ব বেড়ে গেলো, তা বাস্তবায়নের মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

তার এই সফলতায় খুশি বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসী। সুমাইয়া যেন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যেতে পারে সেই প্রত্যাশা করেন তারা।

সুমাইয়া নাসরিন শামা। তিনি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষিকোল মহল্লার বাসিন্দা। তার বাবা জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (অব.) প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। মা নাজনীন খাতুন। তিনি বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান সুমাইয়া।

এক প্রশ্নের জবাবে সুমাইয়া আরও বলেন, ‘যেহেতু বিচারকের পেশায় এসেছি, তাই সব সময় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব।’

যারা তার পথ অনুসরণ করতে চায় তাদের উদ্যেশ্যে সুমাইয়া বলেন, ‘নিয়মিত পড়ালেখার বিকল্প নেই। তবে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে ধারণা থাকলে সাফল্য আসবেই।’

সুমাইয়ার বাবা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ ও মা নাজনীন খাতুন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের মেয়ে সব চাপের ঊর্ধ্বে থেকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।’

সুমাইয়া বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। তার স্নাতকোত্তর (এলএলএম) পরীক্ষা চলছে। শিক্ষাজীবন শুরু হয় স্থানীয় আরএন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। এরপর লক্ষিকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে ৫ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন।

বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে জেএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। একই স্কুল থেকে ২০১৩ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন।

রাজশাহী কলেজে থেকে ২০১৫ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ২০২১ সালে তিনি স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।