রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ ভূমিকা পালনের অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট ডিসি, এডিসি ও নিউ মার্কেট থানার ওসির প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের শহীদ আ. ন. ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সম্প্রতি পুলিশ প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা এই ঐতিহ্যবাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে সেটি নোংরামির চরম মাত্রা অতিক্রম করেছে।’
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ‘ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুন-অর-রশিদ ও নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স. ম. কাইয়ুম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করেই ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।’
তাদের দাবি, ‘এ হামলার প্রধান ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, ফরমান মোল্যা, জাহাঙ্গীর হোসেন, আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপুসহ আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—
১. এই ন্যক্কারজনক হামলার উস্কানিদাতা, ইন্ধনদাতা ও হামলাকারীদের তদন্ত-সাপেক্ষে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব দায়ভার নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে।
৩. হকারদের হামলায় নিহত পথচারী নাহিদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪. রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৫. দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডিসি, এডিসি ও নিউ মার্কেট থানার ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং পুলিশ প্রশাসনকে কলেজ প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
৬. প্রতিটি মার্কেট ও দোকানে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে।
৭. প্রতিটি মার্কেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. ফুটপাত দখলমুক্ত, অবৈধ কার পার্কিং উচ্ছেদ ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
৯. ক্রেতা হয়রানি, নারীদের যৌন হয়রানি বন্ধে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করে ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও নিউ সুপার মার্কেটে ঢাকা কলেজের সম্পদ লিজ বাতিল করে ফিরিয়ে দিতে হবে।
এসব দাবি শীঘ্রই বাস্তবায়ন না করা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।