প্রচ্ছদ ›› শিক্ষা

ঢাবি শিক্ষক সমিতির প্রেস রিলিজে ১৫ বাক্যে ২৫ ভুল!

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৩৫:৫৮ | আপডেট: ৮ মাস আগে
ঢাবি শিক্ষক সমিতির প্রেস রিলিজে ১৫ বাক্যে ২৫ ভুল!

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস রিলিজে ১৫টি বাক্যে ২৫টি ভুল বানান লেখা হয়েছে।

বুধবার সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজটিতে বানান ভুলের ছড়াছড়ি দেখা যায়।

প্রেস রিলিজে 'শিক্ষকমণ্ডলী'-এর পরিবর্তে 'শিক্ষক মন্ডলী', 'শিক্ষক সমিতি'-এর পরিবর্তে 'শিক্ষকসমিতি', 'কালরাত্রি'-এর পরিবর্তে 'কালরত্রী', দুবার 'হত্যাকাণ্ড'-এর পরিবর্তে 'হত্যাকান্ড', দুবার 'হিসেবে'-এর পরিবর্তে 'হিসাবে', 'যুদ্ধাপরাধী'-এর পরিবর্তে 'যুদ্ধপরাধী', 'জাতির পিতা'-এর পরিবর্তে 'জতির পিতা', 'অধ্যাদেশের'-এর পরিবর্তে 'অধ্যাদেশেরে', 'রাশেদ চৌধুরীসহ অন্যরা'-এর পরিবর্তে 'রাশেদ চৌধুরীসহ ও অন্যান্যরা', 'বৈশ্বিক'-এর পরিবর্তে 'বৈশিক', 'পুনর্বাসন'-এর পরিবর্তে 'পূর্নবাসন', 'শোক দিবস'-এর পরিবর্তে 'শোকদিবস', 'ঘণ্টা ব্যাপী'-এর পরিবর্তে 'ঘন্টা ব্যাপী', 'বিভিন্ন ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও সমাজতাত্ত্বিক কারণ'-এর পরিবর্তে 'বিভিন্ন ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও সমাজতাত্বিক কারণসমূহ', দুবার 'শ্রেণি'-এর পরিবর্তে 'শ্রেণী', দুবার 'দাবি'-এর পরিবর্তে 'দাবী', 'প্রচারণা'-এর পরিবর্তে 'প্রচারনা','বিচারপ্রক্রিয়া'-এর পরিবর্তে 'বিচার প্রক্রিয়া', 'বিশ্ববিদ্যালয়সহ'-এর পরিবর্তে 'বিশ্ববিদ্যালয় সহ', 'সরকারবিরোধী'-এর পরিবর্তে 'সরকার বিরোধী', 'বাংলাদেশবিরোধী'-এর পরিবর্তে 'বাংলাদেশ বিরোধী' লেখা হয়েছে।

এছাড়া প্রেস রিলিজে তারিখ থাকার কথা থাকলেও কোনো স্থানে তারিখ দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রেস রিলিজের বানানগুলো আগের নিয়ম অনুসরণ করেছি। টাইপিংয়ের ভুলগুলো ইতোমধ্যে কারেকশন করে পাঠিয়েছি।’

সার্বিক বিষয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, ‘এসব নতুন জ্ঞানের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আপনারা (সাংবাদিকরা) বলতে পারতেন, আপনার লেখার স্টাইলটা পুরনো। আই ডু এগ্রি। কিন্তু আপনারা বলছেন বানান ভুল। হোয়াট ডু মিন বাই বানান ভুল। আজকে বাংলা একাডেমি যা বলবে। আবার পাঁচ বছর পর বাংলা একাডেমি সেগুলো পরিবর্তন করবে।পরিবর্তনশীলতাই গ্রামার ও ল্যাঙ্গুয়েজের ধর্ম। 'কারিগরি' ই কার দিয়ে,' দাবি' ই কার দিয়ে। এগুলো নতুন নিয়ম আমাদের জ্ঞানে নেই। আমি ভুল করি নাই। জ্ঞাতসারেই করেছি। বানান চেঞ্জ করতে হলে আমার সমস্ত জ্ঞান বুড়িগঙ্গায় বিসর্জন দিতে হবে। আর যেগুলো টাইপিংয়ে ভুল ছিল সেগুলো রাতেই পরিবর্তন করে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানানের 'রেফারেন্স' দেওয়া হলে কিছু কিছু বানান ভুল মানতে নারাজ হন তিনি। এ সময় তিনি বর্তমান সময়ের বানান আর আগেকার সময়ের বানানের 'জেনারেশন গ্যাপ' হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।