প্রচ্ছদ ›› শিক্ষা

পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৪:৪৮ | আপডেট: ৪ মাস আগে
পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব আজ

প্রতিবছরের মতো এবারও শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন সারাদেশে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব হবে। আজ সোমবার বছরের প্রথম দিন বই তুলে দেওয়া হবে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে। রাজধানীতে কেন্দ্রীয় বই বিতরণ উৎসব আয়োজন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে বই বিতরণ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো আয়োজন নেই।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ১০টায় মিরপুরের ন্যাশনাল (সকাল-বিকাল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসবে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন বই। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

এ বছর ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ কপি নতুন বই বিতরণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, সে কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসব পালনের অনুমোদন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এ কারণে কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসব হবে না। তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন প্রতীকীভাবে বই উৎসব করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের সব বই এবার নির্ধারিত সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পৌঁছে গেছে। প্রাথমিকের বইয়ের মানও তুলনামূলকভাবে ভালো। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরের সব বই এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়নি। এখনো কিছু প্রতিষ্ঠান বই ছাপার কাজ করছে। তা ছাড়া মাধ্যমিকের বইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাড়াহুড়ো করে বই ছাপাতে গিয়ে কয়েকটি বইয়ের ছাপা নিম্নমানের হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজের মান খারাপ হওয়ায় মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের মান খারাপ হয়েছে।

এদিকে গতকাল সকালে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠ্যপস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, সরকার ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪৬৪ কোটি ৭৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৩ কপি বই বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। এ ছাড়া ২০১৭ সাল থেকে সরকার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় অধ্যয়নের জন্য চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদরি ভাষার বই বিতরণ করছে। বই বিতরণ করছে অন্ধ শিক্ষার্থীদের মাঝেও।