বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে জড়ালে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাসের ভেতরে তো নয়ই নয়, বাইরেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিলে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে পোস্ট দিলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কঠোর বার্তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার বিকালে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম এরই মধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কোনো শিক্ষার্থী অনুমোদিত ক্লাব/সোসাইটি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের বা এর অঙ্গসংগঠনের অথবা অন্য কোনো সংগঠনের সদস্য হতে বা তার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে বর্ণিত নিয়মসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং তা অমান্য করলে অধ্যাদেশে বর্ণিত বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্য কোনো মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক বা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার না করার জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে নির্দেশ প্রদান করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ১৩ জুলাই ঘোষিত ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে বুয়েটের দুজন শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন। তাদের অভিযোগ, বুয়েটে পুনরায় ছাত্র রাজনীতি সক্রিয় করতে এমনটি করা হয়েছে।
