শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সাধরণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন সকাল থেকেই ‘যেই ভিসি গ্রেনেড ছোড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘যেই ভিসি ছাত্র মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যেই ভিসি গুলি ছোড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘শিক্ষার্থীর ওপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান এক হও এক হও’ স্লোগানে ক্যাম্পাস উত্তাল করে তোলেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলন প্রসঙ্গে এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের এক দাবি যেই ভিসি আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারে সেই উপাচার্যকে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাই না। যতক্ষণ না পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগ করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল ছেড়ে দেওয়ার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা হলত্যাগ করবো না।
প্রসঙ্গত, রোববার বিকেলে তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যকে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে আইআইসিটি ভবন থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এই ঘটনার পরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। সেই সঙ্গে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়ার কথাও জানানো হয়।