রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসন ভবনের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল ১০টার দিকে গেটে তালা দিলে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে যোগ দেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের শতশত ভাইয়েরা আহত হয়ে মেডিকেল ভর্তি আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। প্রশাসনের ঘুমন্ত চেহারা আমরা অনেক দেখেছি। গতকালের ঘটনায় আমরা প্রশাসনের কাউকেই পাশে পাইনি।’
এ সময় প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন ভবনের পর উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও হুমকি দেন তারা।
শনিবার বগুড়া থেকে ‘ইসলাম ট্রাভেলস’ এর বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার।
সন্ধ্যার দিকে বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে পৌঁছালে, সেখানে আবারও কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে ঝামেলা হয় ওই শিক্ষার্থীর। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদাররে ওপর চড়াও হন।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করেন। ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনকালে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের উপর স্থানীয়রা হামলা করেছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টির মীমাংসা করতে সন্ধ্যার দিকেই ঘটনাস্থলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া গেলে তার মোটরসেইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয় স্থানীয়রা। এ রকম অনেকের মোটরসাইকেলও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।