করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে অনুষ্ঠিত না হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাসের অপেক্ষা শেষে সশরীরে প্রথম দিনের পরীক্ষা দিয়েছে এসএসসি ও সমমানের সোয়া ২২ লাখ শিক্ষার্থী।
সকাল-বিকাল দুই শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এবার কমিয়ে আনা হয়েছে পরীক্ষার সময় ও নম্বর।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এটিই কোনো পাবলিক পরীক্ষা, যা সশরীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ৮ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষা শুরু হয়। তবে, করোনার কারণে এ বছর তা সম্ভব হয়নি।
২০২১ সালের সংশোধিত ও পুর্নবিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে বোর্ডে পাঠাবে।
প্রতিটি পরীক্ষার সময়কাল দেড় ঘণ্টা এবং এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি নেই। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় করোনার স্বাস্থ্য নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।
গত ২৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২২ লাখ ২৭ হাজা ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। এর মধ্যে ১১.৯৮ লাখ ছাত্রী এবং ১০.২৮ লাখ ছাত্র।